Saturday, July 3, 2010

Bengali wall

ওয়ালপেপার--_Wallpapers_



charagachh.&.chil (চারাগাছ এবং চিল কবিতা--সুকান্ত ভট্টাচার্য্য )

চারাগাছ

ভাঙা কুঁড়ে ঘরে থাকি;
পাশে এক বিরাট প্রাসাদ
প্রতিদিন চোখে পড়ে;
সে প্রাসাদ কী দুঃসহ স্পর্ধায় প্রত্যহ
আকাশকে বন্ধুত্ব জানায়;
আমি তাই চেয়ে চেয়ে দেখি।
চেয়ে চেয়ে দেখি আর মনে মনে ভাবি-
এ অট্টালিকার প্রতি ইঁটের হৃদয়ে
অনেক কাহিনী আছে অত্যন্ত গোপনে,
ঘামের, রক্তের আর চেখের জলের।
তবু এই প্রাসাদকে প্রতিদিন হাজারে হাজারে
সেলাম জানায় লোকে, চেয়ে থাকে বিমূঢ় বিস্ময়ে।
আমি তাই এ প্রাসাদে এতকাল ঐশ্বর্য দেখেছি,
দেখেছি উদ্ধত এক বনিয়াদী কীর্তির মহিমা।
হঠাৎ সেদিন
চকিত বিস্ময়ে দেখি
অত্যন্ত প্রাচীন সেই প্রাসাদের কার্নিশের দারে
অশ্বত্থ গাছের চারা।
অমনি পৃথিবী
আমার চোখের আর মনের পর্দায়
আসন্ন দিনের ছবি মেলে দিল একটি পলকে।
ছোট ছোট চারাগাছ-
রসহীন খাদ্যহীন কার্নিশের দারে
বলিষ্ঠ শিশুর মতো বেড়ে ওঠে দুরন্ত উচ্ছ্বাসে।
হঠাৎ চকিতে,
এ শিশুর মদ্যে আমি দেখি এক বৃদ্ধ মহীরুহ
শিকড়ে শিকড়ে আনে অবাধ্য ফাটল
উদ্ধত প্রাচীন সেই বনিয়াদী প্রাসাদের দেহে।
ছোট ছোট চারাগাছ-
নিঃশব্দে হাওয়ায় দোলে, কান পেতে শোনেঃ
প্রত্যেক ইঁটের নীচে ঢাকা বহু গোপন কাহিনী
রক্তের, ঘামের আর চোখের জলের।
তাইতো অবাক আমি দেখি যত অশ্বত্থচারায়
গোপনে বিদ্রোহ জমে, জমে দেহে শক্তির বারুদ ;
প্রাসাদ-বিদীর্ণ-করা বন্যা আসে শিকড়ে শিকড়ে।
মনে হয়, এই সব অশ্বত্থ-শিশুর
রক্তের, ঘামের আর চোখের জলের
দারায় দারায় জন্ম,
ওরা তাই বিদ্রোহের দূত।।

চিল

পথ চলতে চলতে হঠাৎ দেখলামঃ
ফুটপাতে এক মরা চিল!
চমকে উঠলাম ওর করুণ বীভৎস মূর্তি দেখে।
অনেক উঁচু থেকে যে এই পৃথিবীটাকে দেখেছে
লুণ্ঠনের অবাধ উপনিবেশ;
যার শ্যেন দৃষ্টিতে কেবল ছিল
তীব্র লোভ আর ছোঁ মারার দস্যু প্রবৃত্তি–
তাকে দেখলাম, ফুটপাতে মুখ গুঁজে প’ড়ে।
গম্বুজশিখরে বাস করত এই চিল,
নিজেকে জাহির করত সুতীক্ষ্ণ চীৎকারে;
হালকা হাওয়ায় ডানা মেলে দিত আকাশের নীলে-
অনেককে ছাড়িয়েঃ এককঃ
পৃথিবী থেকে অনেক, অনেক উঁচুতে।
অনেকে আজ নিরাপদ;
নিরাপদ ইঁদুর ছানারা আর খাদ্য-হাতে ত্রস্ত পথচারী,
নিরাপদ–কারণ আজ সে মৃত।
আজ আর কেউ নেই ছোঁ মারার,
ওরই ফেলে-দেওয়া উচ্ছিষ্টের মতো
ও পড়ে রইল ফুটপাতে,
শুক্‌নো-শীতল, বিকৃত দেহে।
হাতে যাদের ছিল প্রাণধারণের খাদ্য
বুকের কাছে সযত্নে চেপে ধরা–
তারা আজ এগিয়ে গেল নির্ভয়ে;
নিষ্ঠুর বিদ্রূপের মতো পিছনে ফেলে
আকাশচ্যুত এক উদ্ধত চিলকে।।

সুকান্ত

হে মহাজীবন, আর এ কাব্য নয়
এবার কঠিন, কঠোর গদ্যে আনো,
পদ-লালিত্য-ঝঙ্কার মুছে যাক
গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো!
প্রয়োজন নেই, কবিতার স্নিগ্ধতা–
কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি,
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী-গদ্যময়ঃ
পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝল্‌সানো রুটি।।

Thursday, July 1, 2010

লক্ষ্য

“Take up one idea. Make that one idea your life - think of it, dream of it, live on that idea. Let the brain, muscles, nerves, every part of your body, be full of that idea, and just leave every other idea alone. This is the way to success, that is way great spiritual giants are produced.”
__স্বামী বিবেকান্দ (Swami Vivekananda)

Rabindranath tegor( রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর)

চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা নির্বাহের পক্ষে দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি তাহাতে সন্দেহ নাই । অর্থা যদি মানুষের মতো মানুষ হইতে হয়, তবে ঐ দুটা পদার্থ জীবন হইতে বাদ দিলে চলে না । অতএব বাল্যকাল হইতে চিন্তা ও কল্পনার চর্চা না করিলে কাজের সময় যে তাহাকে হাতের কাছে পাওয়া যাইবে না এ কথা অতি পুরাতন

-রবীন্দ্রানাথ ঠাকুর

Wednesday, June 30, 2010

moina go

http://www.youtube.com/watch?v=_nckOU01Yw4

দুর্গে দুর্গে দুর্গোতীনাশিনি(Durga puja)

http://www.youtube.com/watch?v=pKZA-SBJmhc

দুর্গে দুর্গে দুর্গোতীনাশিনি(Durga puja)

আমার হ্রদয়

http://www.youtube.com/watch?v=mSPGWWhHNb0&feature=player_embedded#!

বাংলা কবিতা

মিশর
জীবনানন্দ দাশ
[‘ঝরা পালক’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া একটি কবিতা ]

‘মমী’র দেহ বালুর তিমির জাদুর ঘরে লীন, –
‘স্ফীঙ্কস্‌’ – দানবীর অরাল ঠোঁটের আলাপ আজি চুপ !
ঝাঁ-ঝাঁ মরুর ‘লু’ইয়ের ‘ফুঁ’য়ে হচ্ছে বিলীন-ক্ষীণ
মিশর দেশের কাফন পাহাড় – পিরামিডের স্তূপ !

নিভে গেছে ‘ঈশিশি’রি বেদীর থেকে ধূমা,
জুড়িয়ে গেছে লকলকে সেই রক্তজিভার চুমা !
এদ্দিনেতে ফুরিয়ে গেছে কুমারীপূজার ঘটা,
দুলছে মরুমশান-শিরে মহাকালের জটা !
ঘুমন্তদের কানে-কানে কয় সে, – ‘ঘুমা, – ঘুমা’ !

ঘুমিয়ে গেছে বালুর তলে ফ্যারাও, – ফ্যারাও-ছেলে, –
তাদের বুকে যাচ্ছে আকাশ বর্শা ঠেলে-ঠেলে !
হাওয়ার সেতার দেয় ফুঁপিয়ে ‘মেম্ননে’রি বুক,
ডুবে গেছে মিশররবি, – বিরাট ‘বেলে’র ভুখ
জিহবা দিয়ে জঠর দিয়ে গেছে তোমায় জ্বেলে !

পিরামিডের পাশাপাশি লালচে বালুর কাছে
স্থবির মরণ-ঘুমের ঘোরে মিশর শুয়ে আছে !
সোনার কাঠি নেই কি তাহার ? জাগবে না কি আর !
মৃত্যু, – সে কি শেষের কথা ? – শেষ কি শবাধার ?
সবাই কি গো ঢালাই হবে চিতার কালির ছাঁচে !

নীলার ঘোলা জলের দোলায় লাফায় কালো সাপ।
কুমীরগুলোর খুলির খিলান, – করাত দাঁতের খাপ
ঊর্ধ্বমুখে রৌদ্র পোহায়; – ঘুমপাড়ানির ঘুম
হানছে আঘাত, – আকাশ-বাতাস হচ্ছে যেন গুম !
ঘুমের থেকে উপচে পড়ে মৃতের মনস্তাপ !

নীলা, নীলা, – ধুকধুকিয়ে মিশরকবর-পারে
রইলে জেগে বোবা বুকের বিকল হাহাকারে ।
লাল আলেয়ার খেয়া ভাসায় ‘রামেসেসে’র দেশ !
অতীত অভিশাপের নিশা এলিয়ে এলোকেশ
নিভিয়ে দেছে দেউটি তোমার দেউল-কিনারে !

কলসি কোলে নীলনদেতে যেতেছে ওই নারী,
ওই পথেতে চলতে আছে নিগ্রো সারি-সারি;
ইয়াঙ্কি ওই, – ওই য়ুরোপী, – চীনে-তাতার-মুর
তোমার বুকের পাঁজর দলে টলতেছে হুড়মুড়, –
ফেনিয়ে তুলে খুনখারাবী, – খেলাপ, – খবরদারি !

দিনের আলো ঝিমিয়ে গেলো, – আকাশে ওই চাঁদ !
- চপল হাওয়ায় কাঁকন কাঁদায় নীলনদেরই বাঁধ !
মিশর-ছুঁড়ি গাইছে মিঠা শুঁড়িখানার সুরে
বালুর খাতে, প্রিয়ের সাথে – খেজুরবনে দূরে !
আফ্রিকা এই, এই যে মিশর – জাদুর এ যে ফাঁদ !

‘ওয়েসিসে’র ঠাণ্ডা ছায়ায় চৈতিচাঁদের তলে
মিশরবালার বাঁশির গলা কিসের কথা বলে !
চলছে বালুর চড়াই ভেঙে উটের পরে উট –
এই যে মিশর – আফ্রিকার এই কুহকপাখাপুট !
- কি এক মোহ এই হাওয়াতে – এই দরিয়ার জলে !

শীতল পিরামিডের মাথা, – ‘গীজে’র মুরতি
অঙ্কবিহীন যুগসমাধির মূক মমতা মথি
আবার যেন তাকায় অদূর উদয়গিরির পানে !
‘মেম্ননে’র ওই কন্ঠ ভরে চারণ-বীণার গানে !
আবার জাগে ঝাণ্ডাঝালর, – জ্যান্ত আলোর জ্যোতি !